এক মাসেই গায়ের রং ফর্সা করতে চাইলে যেনে নিন রোজ সকালে যা করবেন
রোজ সকালে যা করবেন- গায়ের রং আরও একটু ফর্সা কমবেশি আমরা সকলেই করতে চাই। কিন্তু কীভাবে? ফর্সা তো দূরে থাক, রোজ রোজ রোদে পুড়ে আরও যেন কালো হয়ে যায় গায়ের রং।
তবে বেশী চিন্তা করতে হবে না, ত্বকের রং ফর্সা করতে চাইলে রোজ সকালে ছোট্ট একটি রুটিন মেনে চলুন। মাত্র ৭ দিনে লক্ষ্য করতে পারবেন পার্থক্য, ত্বকের রংটা হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। ১ মাস টানা মেনে চললে দারুণ উজ্জ্বল আর ফর্সা হয়ে উঠবে আপনার রং।
১) ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস উষ্ণ পানি খাবেন খালি পেটে। চাইলে সামান্য মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। এক গ্লাস উষ্ণ পানি কেবল ত্বক নয়, আপনার বাকি দেহকেও সতেজ করে তুলবে। এবং আপনার পরবর্তী রূপচর্চার জন্য ত্বককে প্রস্তুত করবে।
২) মুখে ভাপ নিন। একটি হাঁড়িতে গরম পানি নিয়ে সেই বাষ্প মুখে লাগান কয়েক মিনিট। খুব বেশী কাছ থেকে বাষ্প লাগাবেন না। খুব বেশী উত্তাপও যেন না লাগে। মুখে ভাপ দেয়া হলে পরিষ্কার তুলো দিয়ে মুখ মুছে নিন।
৩) এবার আসে ফেস মাস্কের পালা। একটি টমেটো নিন। মাঝ থেকে কেটে দুভাগ করে ভেতরের পাল্প সবটুকু বের করে নিন। এর সাথে দিন আধা চামচ লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, সামান্য মধু। সম্ভব হলে ১ টেবিল চামচ শসার রসও দিন। লেবু ও টমেটো ন্যাচারাল ব্লিচ হিসাবে কাজ করবে, দুধ যোগাবে ময়েশ্চার, মধু দূর করবে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ আর শসা কমাবে অতিরিক্ত তেল।
এই ফেস মাস্কটি মুখে ও গলায়-হাতে কিংবা অন্যান্য জায়গায় মাখুন। ২০ থেকে ৩০ মিনিট রাখুন। রেখে ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। মুখ মুছে হালকা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন থাকলে অবশসই সানস্ক্রিন ক্রিম মাখুন।
৪) ত্বকের রং ফর্সা করতে রোজ সকালে এক গ্লাস গাজরের জুস খাওয়া অভ্যাস করুন।
পোষ্টটা কেমন লেগেছে কমেন্টেস করে জানাবেন, আপনাদের কমেন্ট দেখলে আমরা ভালো পোষ্ট দিতে উৎসাহ পাই। ধন্যবাদ
যেসব খাবার একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে
কিছু খাবার শরীরের মধ্যে একই সঙ্গে প্রবেশ করলে বিষক্রিয়া তৈরি করে। কাজেই এই সমস্ত খাদ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। নিন্মে এই খাবারগুলো তুলে ধরা হলোঃ
(ক) দই ও ফলঃ যখন খার যুক্ত খাবারগুলি দইয়ের সাথে মিলিত হয়, তখন অ্যাসিড তৈরি করে। যা শরীরের পরিপাককে বাধাগ্রস্ত করে।
(খ) মাংস ও দুধঃ সাধারণত, মাছ, ডিম, কলিজা ও মাংসে প্রচুর প্রোটিন ও আমিষ থাকে। আর অপরদিকে দুধকে সুষম খাদ্য বলা হয়ে থাকে। কাজেই খাদ্যের একাধিক পুষ্টি উপাদানের মধ্যে আবার একই পুষ্টি উপাদান মিলে গেলে তা শরীরের জন্য ভালো নয়।
(গ) তরমুজ ও পানিঃ প্রবাদে আছে ‘ফল খেয়ে জল খেয় না’। ঠিক তেমনি একটি পানীয় ফল তরমুজ। এমনিতেই প্রচুর পানি কাজেই তরমুজ খাওয়ার পর পানি না খাওয়াই ভালো।
(ঘ) চা ও দইঃ চা এবং দই উভয় পানীয়তেই অ্যাসিড থাকে। তাই সাধারণ ভাবেই বলা যায় যে এ দুইটি পানীয় শরীরের মধ্যেকার ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। যার ফলে হজমে সমস্যা হয়। তাই এই খাবার দুইটি এক সঙ্গে না খাওয়াই ভালো।
(ঙ) কোমল পানীয় ও পুনিদা পাতাঃ আমরা সাধারনত ইউটিউব এবং হোয়াটস অ্যাপ এ অনেক বার এ ধরনের সতর্কতাশূলক ভিডিও দেখে থাকি। কিভাবে পুদিনা কোলার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দুটি একত্রিত হলে শরীরের ঝুঁকির পরিমান থাকে। কাজেই কোকা-কোলার সাথে পুদিনা মেশানো উচি নয়।
(চ) দুধ ও অ্যান্টিবায়োটিকঃ কয়েকটি ঔষধ আছে যা শরীরে লোহা ও ক্যালসিয়ামের মতো খনিজের শোষণকে প্রতিরোধ করে, তাই যারা অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করছেন তাদের ঔষধ চলাকালীন সময় দুধ পান না করাই ভালো।
(ছ) দুধ ও লেবুঃ যখন দুধ লেবু যোগ করা হয় তখন দুধ ফেটে যায়। পেটের ভিতরেও একইরকম হয়। যদিও এটি সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে পেটে পাচক রস লেবুর তুলনায় অনেক বেশি অ্যাসিডের ভাগ থাকে। তবে আয়ুর্বেদ ও ঐতিহ্যগত বিজ্ঞান এই দুটি উপাদানকে বিষাক্ত বিবেচনা করে।
সূত্রঃ বাংলা পোষ্ট